ভাষা শহীদদের অমর স্মৃতি বিজড়িত ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি এ আমাদের গর্ব ও অর্জন। দেশ-বিদেশের আচার- অনুষ্ঠানের সাথে সংগতি রেখে প্রতি বছরের মত এবারও গুলশান ক্লাব দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করে। তবে, এবারের আনুষ্ঠানিকতায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ক্লাব আংগিনায় স্থাপন করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার ও বেদী। আশা করা যায় আগামীতে এটি আংগিনার কোথাও স্থায়ী ভাবে স্থাপিত হবে।
ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত সারা দিনের কর্মসূচীটি ছিল মূলত: তিনটি পর্বে সাজানো। প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতায় ছিল সকাল ৯-০০টায় পতাকা উত্তোলন ও ক্লাব-লনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন ও ভাষা শহীদদের স্মৃতিকথা রোমন্থন। সকাল ১১.০০টা-১২.০০টা পর্যন্ত প্যাটিও হলে আয়োজন করা দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচীটি ছিল শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ক্লাব পরিবারের সন্তানদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও চিত্রাঙ্কন বোধ জাগিয়ে তুলতে বয়স ভিত্তিক কয়েকটি গ্রæপে ভাগ করে প্রতিযোগিদের বিন্যাস করে নেয়া হয়। অংশগ্রহনকারিদের মধ্যে ক-গ্রæপে (৫-৮ বছর) কাজী আয়য়ান সামীন (পিতাঃ কাজী আখতার হোসেন, এইচ কে # ২২), যাহ্রান আজাদ (মাতা ঃ ফারাহ্ আশরাফ, পি এফ # ৯২), ও সেহরিশ (পিতাঃ সৈয়দ রফিকুল আলম, এ # ১২৪) যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে। খ- গ্রæপে (৯-১৪ বছর) সামারাহ্ আজাদ (মাতাঃ ফারাহ্ আশরাফ, পি এফ # ৯২), রুবাইয়্যাত আল-হাকিম (মাতাঃ সালমা পারভিন, পি এস # ১৩২) ও আয়য়ান যুহায়ের জাকির (মাতাঃ নাজিয়া নওরীন, পি এন # ১২৪) যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে। দিনের তৃতীয় পর্বের কর্মসূচী ছিল সন্ধায় লামডা হলে কবিতা আবৃত্তি ও একুশের গান গেয়ে ভাষা শহীদদের বিন¤্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। দেশ বরেণ্য নবীণ ও প্রবীণ কবিদের স্বকন্ঠে কবিতা আবৃত্তি ও আবেদনময়ী একুশের গান উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে রাত ১০টায় ছিল সকলের জন্য সুস্বাদু নৈশভোজের আয়োজন।